কোরআনের আয়াত নিয়ে গবেষণা করা : পবিত্র কোরআনের আয়াত নিয়ে গবেষণা করলে শুধু জ্ঞানের পরিধিই বড় হয় না; বরং আল্লাহর প্রতি মুমিনের ঈমানও আরো বৃদ্ধি পায়
কোরআনের আয়াত নিয়ে গবেষণা করা : পবিত্র কোরআনের আয়াত নিয়ে গবেষণা করলে শুধু জ্ঞানের পরিধিই বড় হয় না; বরং আল্লাহর প্রতি মুমিনের ঈমানও আরো বৃদ্ধি পায়
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও নিজের সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা : মহান আল্লাহ আমাদের জন্য গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে নিয়োজিত করে রেখেছেন, সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা তিনিই, নিয়ন্ত্রকও তিনিই, মহান আল্লাহর সৃষ্টিগুলো নিয়ে চিন্তা করলে মুমিনের ঈমান আরো বেড়ে যায়, পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টিতে এবং দিন ও রাতের পরিবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য স্পষ্ট নিদর্শনাবলি রয়েছে
অধিক পরিমাণ জিকির ও দোয়া : অধিক পরিমাণে জিকির করলে আল্লাহর প্রতি ঈমান বাড়ে, ফলে অন্তর প্রশান্ত হয়, পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের প্রশান্ত হয়, জেনে রাখো, আল্লাহর স্মরণেই অন্তরগুলো সত্যিকারের প্রশান্তি লাভ করে,’ (সুরা : আর-রাদ, আয়াত : ২৮)
দ্বিনের সৌন্দর্য সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া : ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামের বিধি-বিধান, আকিদার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও এর ওপর আমল মানুষের দুনিয়া-আখিরাতকে সুন্দর করে, ঈমানকে মজবুত করে, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা জেনে রাখো যে তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসুল রয়েছেন, সে যদি অধিকাংশ বিষয়ে তোমাদের কথা মেনে নিত, তাহলে তোমরা অবশ্যই কষ্টে পতিত হতে, কিন্তু আল্লাহ তোমাদের কাছে ঈমানকে প্রিয় করে দিয়েছেন এবং তা তোমাদের অন্তরে সুশোভিত করেছেন,’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ৭)
ইহসান অবলম্বন করা : ‘ইহসান’ মানুষের ঈমান বৃদ্ধি করে, নবীজি (সা.)-এর ভাষায় ইবাদতের ক্ষেত্রে ইহসান হলো, আপনি এমন ভাবে আল্লাহর ইবাদত করবেন, যেন আপনি তাঁকে দেখছেন, আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (মনে করবেন) তিনি আপনাকে দেখছেন,’ (বুখারি, হাদিস : ৫০)
ইহসানের আরেক অর্থ হলো, মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করা, এটিও মানুষের ঈমান বৃদ্ধি করে, আল্লাহর প্রিয় করে
ইসলামী বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয় পরিহার করা : ঈমানের দৃঢ়তা অর্জনে এর বিকল্প নেই, একটি ম্যাচের কাঠি যেমন কোটি টাকার সম্পত্তি পুড়িয়ে দিতে পারে, তেমনি একটি ঈমান বিধ্বংসী কাজ ও বিশ্বাস মানুষের সব আমল অর্থহীন করে দিতে পারে, পবিত্র কোরআনে এর উদাহরণ হলো, ‘তোমাদের কেউ কি পছন্দ করে যে তার এমন একটা খেজুর ও আঙুরের বাগান হোক, যার নিচ দিয়ে ঝরনাধারা প্রবাহিত, তার জন্য তাতে সব রকম ফল আছে, আর তার বার্ধক্যও সমুপস্থিত, তার কতকগুলো সন্তান-সন্ততি আছে যারা কাজকর্মের লায়েক নয়, এ অবস্থায় বাগানের ওপর অগ্নি হাওয়া বয়ে গেল, যার ফলে সেটি জ্বলে গেল? আল্লাহ তোমাদের জন্য নিদর্শনসমূহ এভাবে বর্ণনা করছেন, যাতে তোমরা চিন্তা করে দেখ,’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৬৬)
দুনিয়ার হাকিকত সম্পর্কে সচেতন হওয়া : দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, দুনিয়া অর্জনই মানুষের মূল লক্ষ্য হতে পারে না, মানুষ দুনিয়াতে ক্ষণিকের অতিথি মাত্র, পৃথিবীর ইতিহাসে দুনিয়াতে বহু রাজা-ধিরাজ অতিবাহিত হয়েছে; কিন্তু পৃথিবীতে তাদের কারো কারো কোনো চিহ্নই নেই, মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে দুনিয়ার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সতর্ক করতে গিয়ে বলেন, ‘দুনিয়ার জীবনের দৃষ্টান্ত হচ্ছে যেমন আকাশ থেকে আমি পানি বর্ষণ করি যার সংস্পর্শে ঘন সন্নিবিষ্ট ভূমিজাত উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়, যাত্থেকে ভক্ষণ করে মানুষ আর জীবজন্তু, অবশেষে জমিন যখন সোনালি রূপ ধারণ করে আর শোভামণ্ডিত হয়, আর তার মালিকগণ ভাবতে থাকে যে ওগুলো তাদের হাতের মুঠোয়, তখন রাত্রিকালে কিংবা দিনের বেলা আমার নির্দেশ এসে পড়ে আর আমি ওগুলো এমনভাবে ধ্বংস করে দিই, মনে হয় যেন গতকাল সেখানে কোনো কিছুই ছিল না, এভাবে আমি আমার নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করি ওই সমপ্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তাভাবনা করে বুঝতে চেষ্টা করে,’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ২৪)
অতএব, ঈমান সুদৃঢ় করতে হলে দুনিয়ার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে, আখিরাতকে প্রাধান্য দিতে হবে,
Leave a Reply