মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যক্ষা নির্নয় কেন্দ্র ডটস কর্নারে কার্টিজ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ১ মাস ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে ৬০ লাখ টাকা দামের জিন এক্সপার্ট মেশিন। ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে এলইডি মাইক্রোস্কোপ মেশিনে জীবানু নির্নয়ের কাজ চালানো হলেও এর মাধ্যমে রোগীর শরীরে থাকা লুকায়িত জীবানু শনাক্ত করা সম্ভব হয় না বলে জীবানু পরীক্ষার ফলাফল শতভাগ সঠিক আসে না বলে সূত্রে জানা গেছে।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গ্লোবাল ফান্ড ফর এইডস,টিউবারকিউলোসিস এন্ড ম্যালেরিয়া(জিএফএটিএম) এর আর্থিক সহায়তায় জিন এক্সপার্ট ল্যাব চালু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।জিন এক্সপার্ট মেশিনে যক্ষা নির্নয়ে ঢাকাস্থ শ্যামলী টিবি হাসপাতাল থেকে কার্টিজ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।গত ১ মাস ধরে কার্টিজ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।আগামী জানুয়ারী নাগাদ আবার কার্টিজের সরবরাহ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।বর্তমানে প্রতিদিন ১৫/২০ জন সাসপেক্টেড রোগী যক্ষা নির্নয়ের জন্য নমুনা হিসাবে এ কেন্দ্রে কফ নিয়ে আসেন।কার্টিজ সংকটের কারনে এলইডি মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে পরীক্ষার কাজ চালানো হচ্ছে।
তবে এই পরীক্ষায় শতভাগ নিখুত রিপোর্ট পাওয়া যায় না।গত জানুয়ারী থেকে আজ পর্যন্ত(১২-ডিসেম্বর) এখানে ১হাজারের ও বেশি যক্ষা নির্নয় করা হয়েছে এবং শনাক্তকৃত রোগীদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
জিন এক্সপার্ট মেশিনের কার্টিজ সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ এএইচএম ইশতিয়াক মামুন জানান,বিদেশ থেকে আসা কার্টিজ শুল্ক জটিলতার কারনে প্রায় ৬ মাস ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পড়ে আছে।সংস্লিষ্ট পার্টনার এনজিও শুল্ক পরিশোধ না করায় ও সরকারীভাবে শুল্ক মওকুফ না করার কারনে এসব কার্টিজ বিমানবন্দরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।ফলে মাধবপুর সহ আরো বহু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডটস কর্নারে থাকা জিন এক্সপার্ট মেশিন কোনো কাজে আসছে না।তিনি জানান এলইডি মাইক্রোস্কোপে কাজ চালানো হচ্ছে ঠিকই তবে এর মাধ্যমে প্রাপ্ত রিপোর্ট পুরোপুরি সঠিক নয়।
Leave a Reply