পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়।
সকাল থেকে নয়াপল্টনে থমথম অবস্থা থাকলেও দুপুর ১২টার দিকে নাইটিঙ্গেল মোড়ে বারবার ঝটিকা মিছিল বের করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে তারা আবারও মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কয়েকজনকে আটক করে। আটকদের মধ্যে আরশাদ ও উজ্জ্বল নামে দুই জন রয়েছেন।
আটককালে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে আরশাদ বলেন, আমি ব্যবসা করি। বিএনপি নেতাকর্মীদের মিছিলের সময় আমাকে হঠাৎ পুলিশ পাঞ্জা দিয়ে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসে।
আটক উজ্জ্বল বলেন, আমি গুলিস্তানে হকারি করি। বাসা থেকে বের হয়ে খেতে এসেছিলাম। পুলিশ আমাকে আটকে করেছে।
এর আগে মিছিলে নেতাকর্মীরা ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক অ্যাকশন’, ‘বিএনপির অ্যাকশন ডাইরেক অ্যাকশন’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘স্বেচ্ছাচারী সরকার নিপাত যাক, নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে চাল, পানি, খিচুরি ও নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ।
অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Leave a Reply