মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৯:২১ অপরাহ্ন

৮ বছরে যেভাবে ৭০০ মোটরসাইকেল চুরি করলো একটি চক্র

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২২
bike-20220817111531

গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল অফিসের সামনে রাখলে দারোয়ানকে বলে রাখা বা রাস্তায় যেখানে সিসি ক্যামেরা আছে সেসব জায়গায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। কারণ, পুলিশ এমন একটি চক্রের সন্ধ্যান পেয়ে, যারা এসব গাড়ি চুরি করে নেন। তারা মোটরসাইকেল ও গাড়ি রাখার সময় খেয়াল রাখেন। এরপর নকল চাবি তৈরি করেন। পরে সুযোগ বুঝে গাড়ি নিয়ে যান। চক্রটি গত ৮ বছরে রাজধানী থেকে এভাবে ৭০০টি মোটরসাইকেল চুরি করেছে। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় সেগুলো বিক্রিও করেছে।

আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তরা) বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ দলের বিশেষ অভিযানে ১৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকা ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন মো. খালেক হাওলাদার ওরফে সাগর আহম্মেদ (৪৮) ও মো. জিসান আহমেদ ওরফে সম্রাট (২২)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার ১৩টি মোটরসাইকেলের মধ্যে ডিসকভার ২টি, পালসার ৩টি, অ্যাপাচি ২টি, প্লাটিনা ১টি, টিভিএস ২টি, সুজুকি ১টি, র‌্যাপিডো ১টি ও হিরো মোটরসাইকেল ১টি রয়েছে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য মো. খালেক হাওলাদার ওরফে সাগর আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি গত আট বছরে ৫০০-৭০০ মোটরসাইকেল ঢাকা থেকে চুরি করেছেন। তিনি সেগুলো চাঁদপুর, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করতেন। গ্রেফতাররা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পার্কিংয়ে থাকা মোটরসাইকেল কৌশলে মাস্টার চাবি দিয়ে লক খুলে চুরি করে নিয়ে যেতো।’

গ্রেফতার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য সহযোগীদের অবস্থান নির্ণয় করে চাঁদপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে জিসান আহমেদ ওরফে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যেই চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার আকানিয়া বিশ্বরোড মোড় সংলগ্ন অরুনের গ্যারেজ থেকে ১৩ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অনুরোধ থাকবে যারা গ্রাম এলাকা থেকে এসব মোটরসাইকেল কেনেন তারা কেনার আগে যেন কাগজপত্র বিআরটিসি থেকে যাচাই করে নেন। না হলে যার কাছ থেকে উদ্ধার করা হবে এসব মোটরসাইকলে সেই চোরাই মামলার আসামি হবেন। যেসব মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এগুলোর সঠিক কাগজ নিয়ে আসবেন আমরা যাচাই করে তাদের দিয়ে দেব’।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর