মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৯:১০ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ কারচুপি করে কখনো ক্ষমতায় আসেনি : প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
image-599231-1664080066

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে সব ধরনের নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। বরং সবসময় জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে।’

জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চেয়েছিলেন তারা কারা? আওয়ামী লীগ সবসময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। জনগণ নির্বাচনে অবাধে তাদের ভোট দেবে। বিএনপিকেও আশ্বস্ত করছি যে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি, তারা (বিএনপি) সত্যিই চিন্তিত যে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। কারণ তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাচ্ছে না। অন্যথায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’

তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দেবে। ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এমন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি, এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। যদি কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায় তাহলে কার কি করার আছে

সরকারপ্রধান বলেন, ‘তারা (বিএনপি) জানে যে, সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা হত্যা, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা।’

আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে লাইনচ্যুত হয়েছিল বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়। আমরা দেখেছি, যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে দ্রুত নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া যায় এবং মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারে। তবে এ ইভিএমের বিরুদ্ধে কিছু লোক আছে, এটা ঠিক।

দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা যাতে দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেজন্য সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। প্রবাসীদের মধ্যে যাদের এনআইডি নেই, তারা পাসপোর্ট দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা এরই মধ্যে করা হয়েছে।

এবারের জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে কী নিয়ে দেশে ফিরছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বন্ধুত্ব, আমি বাংলাদেশের জন্য বন্ধুত্ব নিয়ে দেশে ফিরছি। বাংলাদেশ যে উন্নয়নের বিস্ময় সে কথাটাই সবাই বলার চেষ্টা করেছে।’

‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা শান্তি চাই, আমি যুদ্ধ চাই না, সংঘর্ষ চাই না। আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় কথা আমি এ বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি। সবাই বাংলাদেশ এবং আমাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছে’ বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর