বিদেশিদের কাছে নালিশ আর প্রকাশ্যে বিভিন্ন দূতাবাসে সাহায্য চাওয়াই বিএনপির মেরুদণ্ডহীন রাজনীতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী রোববার সচিবালয়ে তার দপ্তরে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
দেশ পরিচালনায় নতজানু হওয়ার নজির আওয়ামী লীগের নেই, নতজানু হওয়ার নজির রয়েছে বিএনপির উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা কথায় কথায় দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে আর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করে।
তিনি বলেন, বিএনপিই নতজানু, ভঙ্গুর, পরনির্ভর একটি রাজনৈতিক দল।
বিএনপি দেশকে পরনির্ভরশীল ও নতজানু দেখতে চায়, তাঁবেদার হয়ে থাকতে চায় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চায় দেশকে একটি মর্যাদাশীল, সমৃদ্ধ অবস্থানে উন্নীত করতে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নানান অপকর্মের জন্য দেশের মানুষ এখনো বিএনপির ওপর ক্ষুব্ধ, তারা আবারো সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে, উস্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এবং উস্কানি দিচ্ছে পুলিশকে।
বিএনপি নেতারা একদিকে বলছে তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, আবার যখন সুযোগ পায় তখন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন না করে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছে, পুলিশকে আক্রমণের টার্গেট করে নিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের সীমানায় মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় শুরুতেই বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে জবাব চেয়েছিল এবং এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল জানিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে এবং প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন মিয়ানমার জানিয়েছিল মর্টার শেলটি ভুলক্রমে বাংলাদেশের সীমানায় গিয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে তারা সতর্ক থাকবেন বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আবারো একই ঘটনা ঘটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন ও প্রটোকলের আলোকে খতিয়ে দেখছে।
এর আগে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিস্কি।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সড়ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন।সাক্ষাৎকালে বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং দুদেশের মধ্যকার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা হয়।
Leave a Reply