https://channelgbangla.com
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) এর বাম্পার ফলন হয়েছে। টেকনাফের স্থানীয়দের কাছে এই ফলটির নাম “মাইল্লাম” স্থান ভেদে “মাইজ্জাম” নামে পরিচিত। ফলটি খেতে খুব টক, তবে পান খাওয়ার চুন মেখে ফলটি খেলে টক চলে যায়, তখন খেতে মিষ্টি লাগে।
শনিবার বিকালে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর ছেলে তারেক মাহমুদ রনির বাগান থেকে পাহাড়ি মালি আমগুলো (মাইল্লাম) ক্রয় করেন ব্যবসায়ীরা।
বাগানের মালিক তারেক মাহমুদ রনি বলেন, আমার বাগানে সাড়ে ৩শ’র মতো আম গাছ রয়েছে। তার মধ্যে ৪-৫টি পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) এর গাছ রয়েছে। ৪টি গাছে ফলন ভালো হয়েছে এই বছর। হ্নীলা ফল ব্যবসায়ী বাদশা মিয়ার কাছে ৯৫ হাজার টাকার মালি আম (মাইল্লাম) বিক্রি করেছি। গত বছরও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলাম। মিয়ানমার থেকে এই ফলগুলোর বিচি এনে রোপণ করেছিলাম। এই ফলগুলো টেকনাফে খুব জনপ্রিয়।
হ্নীলা স্টেশনের ফল ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান, পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) আগে মিয়ানমার থেকে বিক্রি করার জন্য টেকনাফে নিয়ে আসতো ব্যবসায়ীরা। এখন টেকনাফে উপজেলায় এই ফলের ভালো ফলন হচ্ছে। তারেক মাহমুদ রনির বাগান থেকে প্রায় ১০ মণ পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) ক্রয় করেছি। এই ফল গুলো বিক্রির জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। টেকনাফে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩০০ টাকা দরে।
টেকনাফ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, টেকনাফ উপজেলায় এখন পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) এর ভালো ফলন হচ্ছে। এই ফলগুলো আকারে ছোট ছোট, পাকলে হলুদ রংয়ের হয়ে যায়। খেতে খুব বেশি টক। এই পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) ফল ঢাকা-চট্টগ্রামের জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এখন।
জিবাংলা টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।
আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে ফলো করুন ফেসবুক। গুগল প্লে স্টোর থেকে Gbangla Tv অ্যাপস ডাউনলোড করে উপভোগ করুন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান
Leave a Reply